দিদার হোসাইন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে পুলিশ-বিএনপির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের আহত অন্তত অর্ধশতাধিক।
জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেমূল্য উর্ধগতি এবং ভোলায় ছাত্রদলের
সভাপতি নুরে আলম ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা
আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি ২৬ আগস্ট(শুক্রবার)সমাবেশের ডাক দেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বাস ভবনে শুক্রবার বিকেল সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এতে সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারা (সার্কেল) মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন সহ ১১ জন পুলিশ সদস আহত হয়।
অপরদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা শহীদুল ইসলাম সহ অন্তত ৩৫/৪০ জন বিএনপি নেতা কর্মী আহত হয়েছে বলে জানান গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্যদর্শী সুত্রে জানা যায়,বিএনপির নেতা কর্মীরা তাদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশকে লক্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ঘটনা এতে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এতে ১১ পুলিশ সদস্য সহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে।এতে একপর্যায়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়,পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে।
আহতরা,সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারা সার্কেল হুমায়ুন কবির, বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, থানা তদন্ত ওসি আরিফ রহমান,এএস আই নজরুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য জাবেদুল ইসলাম সহ অন্তত ১১ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এছাড়া বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন লুট্টু,দক্ষিণ জেলা ছাত্র দল নেতা শহিদুল ইসলাম,বিএনপি নেতা আব্দুল ওহাব চৌধুরী, বিএনপি নেতা দিল মোহাম্মদ, শহিদুল্লাহ, ওসমান গণী, আবু ছালেক, শাহাদাত হোসেন,সুজন,নাছির উদ্দিন, ইব্রাহিম,আব্দুর রহিম ও নেজাম উদ্দিন সহ অন্তত ৩৫-৪০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এব্যাপারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লোকমান চৌধুরী ও উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মেশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা,বলেন,সারা দেশ জুড়ে জ্বালানি তেল ও দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি ও ভোলায় বিএনপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে বাঁশখালীতে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের দিকে যাওয়ার পথে ভাসাইন্নার দোকানে প্রায় ১ কিঃমিঃ পশ্চিমে গেলে পুলিশের সাথে আমাদের নেতা কর্মীদের সামান্য ভূল বুঝাবুঝি হয়েছে বিষয়টি আমরা সমাধানের জন্যে চেষ্টা করতেছি।
Leave a Reply