নিজস্ব সংবাদদাতা,আনোয়ারা:: সন্ধ্যা নামেই হাতির ভয়। কয়েক বছর যাবৎ আনোয়ারা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে থামছে না বন্য হাতির তাণ্ডব।দেয়াং পাহাড় সংলগ্ন বৈরাগ ইউনিয়ন মধ্যম গুয়াপঞ্চক গ্রামে মোহাম্মদ উল্যা পাড়া এলাকায় বন্যহাতির তান্ডবের বসতবাড়ি ভাংচুর।
রবিবার (১৯ জুন) রাত ১১ দিকে বন্যহাতি মধ্যম গুয়াপঞ্চক ৫নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ উল্যা পাড়া এলাকায় মোঃ আব্দুলের বসতবাড়িতে তান্ডব চালায়।
ভুক্তভোগী আব্দুল জানান, আমি প্রতিদিনের মতো পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাসায় ঘুমাচ্ছি। এমন সময় রাতে বেলা ১১ দিকে বন্যহাতি আমার ঘরে দেয়াং, দরজা, জিনিসপত্র ওপর তান্ডব চালায়। আমরা কোন রকমে ঘরথেকে পালিয়ে বাহির হই।আমি গরীব মানুষ, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বসতবাড়িটি তৈরি করছি। আমার সার্মথ্য নেই যে নতুন দরজা, দেয়াল দিব।আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বন্যহাতিগুলো দিনের বেলা কোরিয়ান ইপিজেড এলাকায় দেয়াং পাহাড়ের অবস্থান নেই। রাতে বেলা দেয়াং পাহাড় থেকে লোকালয় এসে তান্ডব চালায়। স্থানীয় শাহেদ নামে এক ব্যক্তি জানান, হাতির উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন ও বনবিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বন্যহাতি গুলো সরানো জন্য কোন প্রতিকার পায়নি।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম জানান, বন্যহাতি তান্ডব একটা অভিযোগ পেয়েছি।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতি পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃকর্তা জানানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবারয় আহমেদ জানান, বন্যহাতি মাঝে মধ্যে তান্ডব চালাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের বন বিভাগ থেকে ওনাদের জন্য সুযোগ সুবিধা চেষ্টা করছি এখনো করতেছি। বন্যহাতি আক্রমণের যে ক্ষয়ক্ষতি হবে এর ওপর নিবার্চন করে ক্ষতি পূরণ দেওয়া জন্য ব্যবস্থা করা হবে।
পটিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার মোঃ ফোরকান জানান, বন্যহাতির আক্রমণের ক্ষতিগ্রস্তদের প্রথমে থানা অভিযোগ করতে হবে।অভিযোগের তদন্তের সাপেক্ষ বনবিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।বন্যহাতি গুলো সরিয়ে নেওয়া বিষয়ের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিবেদককে জানান উর্ধ্বতন কর্তৃকর্তাকে জানানো হয়েছে।