সুমা আফরোজা একপর্যায়ের মনটাকে স্থীর করলো - আমার যতই কষ্ট হোক! আমার আব্বু-আম্মুকে জোর করে বলা যাবে না! এদিকে আমার শ্বশুরবাড়ি লোকজন বৈশাখ মাসের উপহারের জন্য চাপ প্রয়োগ সহ আমার ওপর শারীরিক আর মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে।সারাদিন শ্বশুর বাড়িতে কাজের বুয়া মত কাজ করে শান্তি পাচ্ছি না। সারাদিন কাজে করে শরীর ব্যাথার জন্য রাতের বেলায় ঘুমাতে পারি না। তার মধ্যে কিভাবে আব্বু বৈশাখ মাসে আমার শ্বশুর বাড়ী জন্য আম,কাঁঠান,আনারস কোথায় থেকে যোগাড় করবে,চিন্তা শেষ নেই।
সারারাত চোখ থেকে অঝোর ভাবে জল পড়তে পড়তে মাথার বালিশ ভিজে যায়।এতে আমার প্রষাণ স্বামী মন গলে না - কয়েক দিন পড়ে আমার শ্বাশুড়ি আব্বুকে কল দিয়ে বললেন কি খবর বিয়াই সাহেব - ভাল আচ্ছো নি? আর বিয়াইন কেন আছে? বিয়াইন সাহেবা - আলহামদুলিল্লাহ আমরা দু'জনও আল্লাহ তা'আলা রহমতে আপনাদের দোয়া ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন? আমার মামণি কেমন আছে? মামণি জন্য আমার পেট পুড়তেছে, বিয়াই ভাল আছি- তবে কিভাবে ভাল থাকি বৈশাখ মাসের সামাজিক উপহার গুলো জন্য লোকজন মন্দ কথা বলতেছে,,,,,
বিয়াইন সাহাবা সমস্যা নেই কয়েকদিন মধ্যে আপনাদের সব উপহার দিয়ে দিব! বিয়াই সাহেব ভাল তবে আমার সমাজটা একটু বড়, আমাদের তো সমাজে একটা নাম আছে।সেটা একটু বিবেচনা করে দেখবেন- জ্বি বিয়াইন সাহাবা। কথাটা গুলো হয়তো আব্বুর পায়ের নিচের মাটিটা সরে গেছে? কথাগুলো শুনে আমার যে কেমন লাগতেছে বলে বুঝানো যাবে না, মাঝে মধ্যে মনে মেরে যেতে----- এদিকে আমার বিয়ে দেওয়া সময় আব্বু বাড়ি বন্ধক দিয়ে মহাজন থেকে টাকা ধার নিয়েছে?সেই টাকা গুলো কখনো পরিশোধ করতে পারেনি?