মুহাম্মদ দিদার হোসাইনঃ
বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর হৃদয় স্পন্দন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)কে নিয়ে ভারতে সনাতনী ধর্মগুরু রামগীরি ও বিজেপি নেতা রানার কটুক্তির প্রতিবাদে বাঁশখালীতে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বাঁশখালী উপজেলা শাখা।
৪ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেলে হেফাজতে ইসলাম বাঁশখালী উপজেলা শাখার উদ্যোগে মিছিলটি পৌরসভার মিয়ার বাজার থেকে প্রধান সড়ক হয়ে থানা গেইট প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ গেইটে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে হেফাজতে ইসলাম উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা নুরুল হক সুজিস এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান জসিম, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা ক্বারী ফজলুল করিম জিহাদী, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এম ওয়াহিদ উল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ, হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ, মাওলানা মুহাম্মদ এমরান, পৌর আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান, পৌরসভা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুল হক।
হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা হেলাল উদ্দিন আল হাবীব ও মাওলানা শোয়াইব কাসেমীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতে সনাতনী ধর্মগুরু রামগীরি ও বিজেপি নেতা রানাসহ দুই কুলাঙ্গার বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর হৃদয় স্পন্দন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তি করে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় আঘাত করেছে। কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
এসময় বিশ্বনবীর অপমান সইবেনারে মুসলমান, ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, বদর যুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার এইসব স্লোগান দিতে দিতে বক্তারা বলেন, ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারী সেই ধর্মগুরু রামগীরি ও বিজেপি নেতা রানার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনাই। যাহা অন্তত দুঃখজনক, ভারত সরকার যদি রামগীরি ও বিজেপি নেতা রানার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে ভারতের সকল পণ্য বর্জন করা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে নেতারা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই, রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারী সেই কুলাঙ্গারদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে কুচক্রী মহল দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করতে পারে, তাই সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে সুন্দর ভাবে সফল করতে প্রশাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পূজা চলাকালে সময় সুচি অনুযায়ী নামাজের সময় পূজা উৎসবের মাইক ও সাউণ্ড সিষ্টেম বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এদেশে কেউ ইসলাম ও রাসুল (সাঃ)কে কোনো ধরনের বাজে মন্তব্য করার দুঃসাহস করলে সাথে সাথে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ভারত সরকার যদি রামগীরি ও বিজেপি নেতা রানার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রয়োজনে ভারতের হাইকমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গণমিছিল ও সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।
Leave a Reply