মুহাম্মদ দিদার হোসাইন, বাঁশখালী,চট্টগ্রাম।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও স্বৈরাচার শাসকের পেটোয়া বাহিনী পুলিশের গুলিতে নিহত বীর শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও জেয়াফত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৯ আগস্ট (শুক্রবার)  বিকেলে পুকুরিয়া ইউপির চৌমুহনীস্থ চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে  উপজেলা শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান  নুরুল আমিন সিকদারের সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম।

মাস্টার মিনহাজুল হক জাহেদুল আলমের যৌথ সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল মোস্তফা, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মৌলানা আরিফ উল্লাহ,বাঁশখালী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা জুবায়ের ইসলাম, জামায়াত নেতা মোঃ ইলিয়াস আরব, পুকুরিয়া ইউনিয়ন সভাপতি হাফেজ জিয়াউল হক চৌধুরী, সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি রাহবারে আলম, আলী আহমেদ, মাওলানা সোলতান মাহমুদ, শ্রমিক নেতা ফৌজুল আজীম, নাঈম উদ্দিন চৌধুরীসহ ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়, বৈষম্য বিরোধী যৌক্তিক দাবিতে ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়। বক্তারা বলেন, মক্কা বিজয়ের পর রাসুল (সাঃ) মক্কার কাফেরদের ক্ষমতা ঘোষণা করেছিলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান সবাইকে ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। তাই ছাত্র-জনতার বিজয়কে পুঁজি করে কেউ যেনো কারো জানমালের ক্ষতি সাধন করতে না পারে সেই বিষয়ে জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে, বিশেষ করে বাঁশখালীতে সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে জামাত -শিবিরের নেতাকর্মীদের কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন।