দীর্ঘদিন যাবৎ অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য পরিবেশন করে আসছিল বাঁশখালী গুনাগরীস্থ “সুরুচি হোটেল এণ্ড রেস্টুরেন্ট” অবশেষে জরিমানা গুনতে হলো এই হোটেল মালিককে, তবে এবার নতুন নয় বরং ইতিপূর্বে আরো অনেক বার জরিমানা গুনতে হয়েছিল এই হোটেল মালিককে!!
মুহাম্মদ দিদার হোসাইনঃ
বাঁশখালীতে লাইসেন্স বিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে হোটেল এবং রেস্তোরাঁ খাদ্য পরিবেশন ও পরিচালনার দায়ে উপজেলার গুনাগরীস্থ “সুরুচি হোটেল এণ্ড রেস্টুরেন্ট” ও রাজ কুটির রেস্তোরাঁসহ দুই হোটেল -রেস্তোরাঁ মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন। এসময় মূল্য তালিকা না থাকায় ও নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের দায়ে আরো ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান ও আদায় করা হয়।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে গুনাগরী বাজারে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে ৫ ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা ও লাইসেন্স বিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হোটেল -রেস্তোরাঁ পরিচালনার দায়ে বাংলাদেশ হোটেল রেস্তোরাঁ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় উল্লেখিত দুই হোটেল -রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিককে ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছে প্রশাসন। এসময় কাঁচা সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার জন্যে সকল ব্যবসায়ীকে পরামর্শ দেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) জসিম উদ্দিন।
এসংক্রান্তে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জসিম উদ্দিন জানান, রামদাস মুন্সির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের চৌকস টিমের সহযোগিতায় গুনাগরী বাজারে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এতে লাইসেন্স বিহীন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হোটেল -রেস্তোরাঁ পরিচালনার দায়ে গুনাগরীস্থ দুই হোটেল – রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা না থাকা ও নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের দায়ে ৫ ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply