যাত্রীদের অভিযোগ, আনোয়ারা -বাঁশখালী-পেকুয়া সংযোগ সড়কটি নামেমাত্র আঞ্চলিক মহাসড়ক, প্রকৃত পক্ষে এই ব্যস্ততম সড়কটি যানবাহন -পরিবহন চলাচলের তুলনায় খুবই সরু। এছাড়াও বাঁশখালীর চাঁদপুর, গুনাগরী, কালীপুর, বৈলছড়ী, পৌরসভা মিয়ার বাজার, উপজেলা সদর, দারোগা বাজার, টাইমবাজার, চাম্বল বাজার, নাপোড়া, প্রেমবাজারসহ প্রধান সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে একদিকে ব্যবসায়ীরা দোকানের মালমাল সড়কের দুপাশ দখল করে রাখা, ভাসমান হকার ও কাঁচাবাজার বসানো, যত্রতত্রে অবৈধ পার্কিং, লাইসেন্স বিহীন সিএনজি, ব্যাটারী চালিত টমটম, অটোরিকশা পার্কিং, বাস পার্কিং ও পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংয়ের ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট, অপরদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসেই সিএনজি চালকরা যাত্রীদের জিম্মি আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া, বিশেষ করে সরকারি ছুটিতে (বৃহস্পতিবার -শুক্রবার) আসলেই ভাড়া নৈরাজ্য ও যানজট ভোগান্তিতে দিশেহারা যাত্রীরা। দীর্ঘ যানজটের ফলে একদিকে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনা, অপরদিকে ভাড়া নৈরাজ্যে চরম বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা।
আনোয়ারা- বাঁশখালী -সাতকানিয়া বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাবেরুল হক জাবেদ বলেন, বাস শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার কোন সুযোগ নেই, কারণ এবিষয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, তাছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নেয়ার জন্য বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে, কোন শিক্ষার্থীর কাছে টাকা না থাকলে তাকে বিনা পয়সায় বাসে করে নিয়ে আসার কথাও বলা আছে। বাস শ্রমিকরা ভাড়া নৈরাজ্যের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয়, যাত্রীদের কাছ থেকে এক পয়সা অতিরিক্ত আদায় করছে এমন কোন অভিযোগের প্রমাণ কেউ দিতে পারলে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তারা।
Leave a Reply