মুহাম্মদ দিদার হোসাইনঃ
নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ বর্তমান স্থান থেকে বেড়িবাঁধ সরিয়ে পুরো এলাকার পানি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম খালের মুখ বন্ধ করে দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও বরাবর একটি আবেদন করেছিল সে। তবে উপজেলা প্রশাসন সবকিছু তদন্ত করে আগের জায়গায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এলাকাবাসী।
এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি জোবাইরসহ একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে বাঁধার সৃষ্টি করে আসছে। আমরা প্রশাসনের কাছে পানি চলাচল পথ ও স্লুইস গেইটের মুখ সচল রেখে বর্তমান স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার দাবি জানাই।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হাফেজ আহমদ জানান, এই বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন হলে ৩৬০ টি পরিবার রক্ষা ও শত শত একর জমির ফসল এবং বিশাল এলাকা জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাবে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। এখানে বাঁধা সৃষ্টি করে কিছু লোক তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের কূমানসে নির্মাণ কাজ বাঁধা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি শেখ আহমদ, আবদুস সত্তার, সৈয়দুল হক ও মোহাম্মদ ফারুক জানান, দীর্ঘদিন পর বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াতে এলাকার মানুষ যখন আনন্দে আত্মহারা তখন কিছু লোক বেড়িবাঁধটি অন্যদিকে ফিরিয়ে পানি চলাচলের খাল ও স্লুইস গেইটের মুখ বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জামশেদুল আলম বলেন, নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের চলমান কাজটি অন্যদিকে ফিরিয়ে পানি চলাচল খাল বন্ধ করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করলেও জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে পানি নিষ্কাসনের খাল রক্ষা ও জলাবদ্ধতা থেকে এলাকাটি সুরক্ষা দিতে সার্ভে রিপোর্টের ম্যাপ অনুযায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।