দৈনিক সবুজ বাংলা ডেস্কঃ
বাঁশখালী পুকুরিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর মৌজার বিএস রেকর্ডীয় চন্দ্রপুর হাজী বসরত আলী জামে মসজিদটি বিগত প্রায় ১০ বছর যাবত আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ক্ষমতার দাপটে দেখিয়ে মসজিদটি জোরপূর্বক দখল করে বিভিন্ন ভাবে বেনামে মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ লুটপাট করার পর গত ৫ আগস্টের পর থেকে ওইসব সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর থেকে দাতাদের ওয়রাশিগণ মসজিদটি সুন্দর ও সুচারু রূপে পরিচালনা করলেও এরই মধ্যে স্হানীয় দুই -একজন উচ্চ পর্যায়ের আওয়ামী দোষরদের ইন্ধনে চন্দ্রপুর এলাকার কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী মসজিদটি পূনরায় দখলের চেষ্টা করাতে এলাকার হাজারো মুসল্লীরা এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর হাজী বসরত আলী জামে মসজিদ এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণকারী মুসল্লীরা বলেন, বিএস জরিপের বিএস খতিয়ান রেকর্ডীয় চন্দ্রপুর হাজী বসরত আলী জামে মসজিদটি যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে মসজিদের নামে ১৯২৯ সালে ওয়াকফ দলিল দাতাদের ওয়ারিশগণ মসজিদটি পরিচালনা করে আসছিল।
কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী স্বৈরশাসকের আমলে দাতাগণের ওয়ারিশগণকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে তথাকথিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিগত প্রায় ১০ বছর যাবত জোরপূর্বক মসজিদটি দখল করে মসজিদের বেনামে সরকারি বেসরকারি বরাদ্দ নিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করলেও কেউ ভয়ে মূখ খুলতে পারেনাই। ওই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অনৈতিক কাজে প্রতিবাদ করাতে দাতাদের ওয়ারিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও জুলুম নির্যাতন করতে দ্বিধা বোধ করেনাই তারা। যার ফলে অনেক মুসল্লীরা এই মসজিদ ত্যাগ করে বিভিন্ন এলাকার মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেও বাধ্য হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গণবিপ্লবে তৎকালীন আওয়ামী সরকার পতনের পর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর দাতাদের ওয়ারিশগণ মসজিদটি সুন্দর ভাবে পরিচালনা করলেও এরই মধ্যে গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার চন্দ্রপুর এলাকার ওই সন্ত্রাসীরা (রায়ছটা) গ্রামের কিছু ভাড়াটিয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী একটি জীপগাড়ি নিয়ে বিএস রেকর্ডীয় চন্দ্রপুর হাজী বসরত আলী জামে মসজিদটি আবারও দখল করার চেষ্টা করিলে স্থানীয় ও মুসল্লীরা তাদেরকে ধাওয়া করাতে পালিয়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার হাজারো মুসল্লীরা এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেন।
এসময় তারা আরো বলেন, আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা উচ্চ পর্যায়ের দুই-একজন আওয়ামী দোষরদের ইন্ধনে মসজিদটি আবারও দখল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে ওইসব সন্ত্রাসীরা। তাই মসজিদ ও এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে মুসল্লীরা।
Leave a Reply