দিদার হোসাইন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে রাতর আঁধারে মাছ লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রজেক্ট মালিকের অন্তত ৫/৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে জানান মোঃ তৈয়ব।এই বিষয়ে জায়গার মৃত্যু হারুনুর রশিদ চৌধুরীর ছেলে আরমানুর রশিদ চৌধুরী বাদী হয়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন মানিক(৪০),আজম উদ্দিন (২৪),মোঃ মিয়া(২২),মোঃ নেছার আহমেদ (৫৫),মঈনুদ্দিন (৪০),মোস্তাফিজ (৪০),হামিদুল্লাহ (৩৫),মোঃ রহিম (২৫),আব্দুল মান্নান রানা(৩২),আলমগীর (৩০),মোঃ আবু(৪০),মোঃ তৌহিদ (৩২) ও মোঃ মনু(৩৩) দের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের সুত্রে জানা যায়,১৬ অক্টোবর (রবিবার) রাতের আঁধারে ওই এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী জমির উদ্দিনের ছেলে মুহাম্মদ সালাউদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে ৬০/৭০ জনের একটি সিন্ডিকেট চক্র একই ইউপির মোঃ তৈয়ব উল্লাহ সওদাগরের চিংড়ি প্রজেক্টের বাঁধ কেটে প্রথমে পানি ছেড়ে দেয়,পরে ও প্রজেক্ট থেকে অন্তত ৫/৬ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটে গেছে বলে জানায় প্রজেক্ট মালিক মোহাম্মদ তৈয়ব।
অভিযোগকারী আরমানুর রশিদ চৌধুরী ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ চৌধুরীর ছেলে রিপন চৌধুরী দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন,দীর্ঘ ৬০/৭০ বছর যাবত আমাদের বাপ-দাদারা এই জায়গা ভোগদখল করে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আমরা ওয়ারিশানগণ উক্ত জায়গা ভোগদখলে নিয়োজিত থেকে বিভিন্ন চাষাদের কাছে লাগিত দিয়ে পরিবারের খরচ বহন করে থাকি।সেই অনুযায়ী বাৎসরিক লাগিয়ত হিসেবে স্থানীয় মোঃ তৈয়ব উল্লাহ সওদাগরকে মৎস্য প্রজেক্ট ও লবণ মাঠ করার জন্যে দিয়েছি।তিনি আমাদের কাছে লাগিয়ত হিসেবে নিয়ে চিংড়ি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ঘোনা করেছে।ওই মাছের ঘোনা থেকে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন মানিক দলবল নিয়ে অন্তত ৫/৬ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়,প্রজেক্ট থাকা আরো প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ ধরার জালও নিয়ে গেছে বলে অভিযোগকারী আরমান।এসময় তারা আরো বলেন,সালাউদ্দিন মানিক একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক,তার বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
এই ব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন,এই বিষয়ে আরমান নামের এক ব্যক্তি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে,অভিযোগটি তদন্তধীন আছে।