দিদার হোসাইন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ির নাপোড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার দায়ে পাহাড় কাটা কাজে ব্যবহৃত ১টি স্ক্যাভেটর জব্দ এবং পঁচা মিষ্টি বিক্রয় ও পঁচা খাবার পরিবেশনের অপরাধে দুই হোটেল রেস্তোরাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা।
বাঁশখালীর পাহাড়ি এলাকায় দেদারসে চলছে অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার মহোৎসব।এরই প্রেক্ষিতে পুঁইছড়ির পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার গোপন সংবাদ পেয়ে
এসময় পঁচা মিষ্টি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও পঁচা বাসী খাবার তৈরি ও পরিবেশন করায় দুই হোটেল রেস্তোরাঁকে ভোক্তাধিকার আইনে সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার বিকেলে অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নাপোড়া বাজার এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের খবর পেয়ে পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট চক্র সদস্যরা পালিয়ে গেলেও এসময় পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর জব্দ করে ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য সুজিত কান্তি বৈদ্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান।
এছাড়াও অভিযান পরিচালনা কালে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পঁচা মিষ্টি সংরক্ষণ ও পঁচা বাসী খাবার তৈরি ও পরিবেশন করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভাই ভাই মৌসুমি হোটেলকে ৫ হাজার টাকা ও এস এন হোটেলকে ১০ হাজার টাকা সর্বমোট ওই দুই হোটেলকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও তিনি।অসাধুদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মাহমুদুল হাসান।
উল্লেখ্য বাঁশখালীর পাহাড়ি এলাকার জঙ্গল কালীপুর, জঙ্গল চাম্বল,পুঁইছড়ি,দারোগা বাজারের পূর্বে ফরেস্ট অফিস এলাকায় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র সদস্যরা অবৈধ ভাবে পাহাড় কেটে বিভিন্ন এলাকায় মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার অবৈধ বাণিজ্য করে যাচ্ছে।এমনকি পাহাড় কেটে বিভিন্ন এলাকার লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই লোক জনকে সেখানে বসতিও স্থাপন করে দিচ্ছে ওই প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র সদস্যরা।পাহাড় ধ্বংস কারী সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান আরো জোরদার করার জন্যে অনুরোধ জানান স্থানীয় সচেতন মহল।