দৈনিক সবুজ বাংলা ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল এলাকায় গিয়াস উদ্দিন নামে এক রেমিট্যান্স যোদ্ধার মালিকানাধীন দোকান ঘর মো. সরওয়ার আলম নামে এক লোক তার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে, উক্ত দোকান ফেরত চাওয়ায় প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং দোকান ঘর ফিরে পেতে আকুতি জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওমান প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন।
জোরপূর্বক দোকান জবরদখলের ঘটনাটি বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় ঘটেছে। এই নিয়ে প্রতিকার চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে এ ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, একই এলাকার নুর মোহাম্মদ এবং জান্নাত খাতুনের কাছ থেকে ৭২২ নং সাব-রেজিস্ট্রী কবলা মুলে বিএস ৭০৯৯ দাগের ০.৭৫ শতক জায়গা খরিদ করেন প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন, সেই মতে তার এবং তার স্ত্রীর নামে বিএস নামজারি খতিয়ান নং ৪৪৬৯ সৃজন করেন। দখল স্থিত থাকিয়া দোকান গৃহ নির্মাণ করে এই প্রবাসী। কিন্তু সে প্রবাসে থাকার সুবাদে তার আপন ভাই সরওয়ার আলম স্থানীয় লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক উক্ত দোকান ঘর দখল করে নেয়। এতে দোকান ফিরে পেতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় শালিসি বৈঠক হয়, বৈঠকে দুপক্ষের অঙ্গিকার নামা গ্রহণপূর্বক ভুক্তভোগী প্রবাসীর অংশ ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিলেও শালিসের ওই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে উক্ত দোকান ঘর প্রভাব খাটিয়ে নিজ দখলে রেখে দেন অভিযুক্ত সরওয়ার আলম। পরে আইনী প্রতিকার পেতে পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করে এই প্রবাসী।
ভুক্তভোগী প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা, দীর্ঘদিন যাবৎ ওমান প্রবাসে ছিলাম, বর্তমানে দেশে আছি, আমার বিদেশ থাকার সুবাদে আমার ভাই সরওয়ার আলম স্থানীয় লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আমার খরিদা সম্পত্তি ও দোকান ঘর জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে, সে কোনো ধরনের আইনের তোয়াক্কা করে না, সালিস বিচার মানেনা, তার নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী থাকায় যে কোন ধরনের অন্যকাজ করতে দ্বিধা করেনা, স্থানীয় সালিসে দোকান ঘর আমার বরাবর ছেড়ে দিতে বললেও দোকান ফেরত দেয়ার পরিবর্তে আমি ও আমার পরিবারকে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত সরওয়ার, তাই আমি ন্যায় বিচারের আশায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি। এখনো পর্যন্ত আমার বরাবর দোকান ছেড়ে দেয়নাই। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে আমাদের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এবং দোকান দাবি করিলে আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত সরওয়ার। তার হুমকি ধমকিতে আমরা জীবন শঙ্কায় দিনাতিপাত করছি, সে যেকোন সময় আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে, তার আক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং দোকান ঘর ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আকুতি জানিয়েছে এ ভুক্তভোগী।
অপরদিকে অভিযুক্ত সরওয়ার আলমের সাথে যোগাযোগের একাধিক বার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল সংযোগ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসের পেশকার তানভীর আহমদ জানান, এবিষয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে দুপক্ষকে নোটিশ দেয়া হবে
Leave a Reply