মুহাম্মদ দিদার হোসাইনঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘুমন্ত অবস্থায় মিনু আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত মিনু আক্তারের স্বজনদের দাবি, স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কহল থাকার জেরে স্বামী ফরিদুল আলম ছুরিকাঘাত করে মিনু আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ইলশার ৮ নং ওয়ার্ড শেওলা বাপের বাড়িস্থ নিহতের বাপের বসতঘরে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বিগত ১৫ বছর আগে খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের কালু ফকিরের বাড়ির মৃত দুধু মিয়ার পুত্র নইমুদ্দিন প্রকাশ ফরিদুল আলম (৪২) এর সাথে বাহারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ইলশার গ্রামের অজি আহমদের কন্যা মিনু আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বিবাহের পর কয়েক বছর সাংসারিক জীবন শান্তিপূর্ণ ভাবে অতিবাহিত হলেও বিগত কয়েকবছর যাবত বিভিন্ন কারণে-অকারণে স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য চলছিল, তবে স্বামী ফরিদুল আলম মোবাইল ব্যবসা করার সুবাদে চট্টগ্রাম শহরে থাকেন বলে জানা গেছে। মাঝে -মধ্যে বাড়িতে আসতেন ফরিদুল। শুক্রবার ভোর রাতে ফরিদুল আলম শহর থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় চোখে ছুরিকাঘাত করায় ব্যাপক রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে হাসপাতালে নেয়ার পথে মিনু আক্তারের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে ফরিদুল আলমের স্বজনদের দাবি, ফরিদুল আলম শহর থাকেন, আর মিনু আক্তার ছিলেন তার বাপের বাড়িতে, শহর থেকে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে যদি ফরিদুল তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে থাকে তাহলে এতো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ফরিদুল আলম পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলো কিভাবে, তা নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে ফরিদুল আলম তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের স্বজনরা তাকে ধাওয়া করেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে বাঁশখালী থানাধীন বাহারচড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মজনু মিয়া জানান, মিনু আক্তারের বাপের বাড়িতে এসে স্বামী ফরিদুল আলম তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় চোখে ছুরিকাঘাত করেছে বলে নিহতের পরিবার সুত্রে অভিযোগ পেয়েছি। ঘাতক ফরিদুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে নিহতের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply