মুহাম্মদ দিদার হোসাইন, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরী এলাকায় সিএনজি চালক এবং অটোরিকশা যাত্রীর মধ্যে সংঘটিত এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় মামলা দায়ের করেন মানিক নামের এক ব্যক্তি,ঘটনা সময় ঘটনাস্থলে না থাকা সত্বেও গিয়াস উদ্দিন নামের এক নিরহ লোককে মামলার আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।
৮ এপ্রিল (শনিবার) বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গুনাগরীর গনি প্লাজা মার্কেট সংলগ্ন প্রধান সড়কের উপর ঘটনাটি ঘটেছে বলে মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।তবে ঘটনাস্থলে না থাকা সত্বেও মোক্তার আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন এজাহার নামীয় ৫ নং আসামী হওয়ার বিষয়টি গায়বী বলে মনে করছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মামলার এজাহারে দেখা যায়,পূর্ব গুনাগরী ভাসাইন্যা দোকান এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে মোঃ গিয়াস উদ্দিন ওই দিন ঘটনাস্থলেও ছিলেননা কেন তাকে এজাহারে ৫ নং আসামী করা হয়েছে? এই নিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে উত্তেজনা।গিয়াস উদ্দিন বলেন, গুনাগরি এলাকায় অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে,আমি সেইদিন ঘটনাস্থলে ছিলাম কিনা তা প্রমাণ করতে ওইসব সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখার জন্যে আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।আমি ঘটনাস্থলে থাকাতো দূরের কথা আমি ঘটনা চোখেও দেখিনি,ঘটনাস্থলে না থাকা সত্বেও একটি মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে আসামি করা হয়েছে,আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, আমাকে যেন এই মিথ্যা মামলা থেকে আব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা বলেন, ঘটনার সময় গিয়াস উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে আমরা কেউ দেখিনাই,তাকে কেন আসামী করা হয়েছে সেটা জানিনা।এটা খুবই দুঃখজনক,
নিরহ গিয়াস উদ্দিনকে মিথ্যা অভিযোগে মামলার আসামি করার বিষয়টি ছড়ি পড়ায় পুরো এলাকা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এবিষয়ে পূর্ব কোকদন্ডীর কাজী পাড়ার আহমদ হোসেনের ছেলে মোঃ মানিক অর্থাৎ এই
মামলার বাদীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গিয়াস উদ্দিনকে কেন আসামী করা হয়েছে সেই বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা, আপনারা মামলার তদন্ত অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলতে পারবেন বলে জানান বাদি মানিক।
একই ভাবে মৃত ইনসাফ মিয়ার ছেলে মোঃ নাছির উদ্দীনকেও এই মামলার ৬ নং আসামী করা হলেও একই ভাবে আলোচনা -সমালোচনা শুরু হয়, নাছির উদ্দীন বলেন,আমি থাকি চট্টগ্রাম শহরে,ঘটনার দিন ঘটনার সময় বাঁশখালীতেও ছিলামনা,কিন্তু আমাকেও হয়রানি করার জন্যে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ওই মামলায় ৬ নং আসামী করেছে বাদী মানিক,এসময় নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে মানিকের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নাছির।
এই ব্যাপারে গুনাগরী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ সোলাইমান জানান,কে কে কিভাবে আসামী হয়েছে তাতো আমি জানিনা,গিয়াস উদ্দিনের ব্যাপারে আরো কয়েকজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি সে ঘটনায় ছিলনা,সে ঘটনাস্থলে ছিলো কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা হবে,যদি না থাকে তাহলে তাকে তদন্ত করে বাদ দেয়া হবে বলেও জানান পুলিশ মোঃ সোলাইমান।
Leave a Reply