মুহাম্মদ দিদার হোসাইন, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পৌরসভার অলি মিয়ার দোকান এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিএনজির গ্যারেজসহ অন্তত ৭ টি দোকান মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে ৩ জন।
২৪ মে (শুক্রবার) দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে পৌরসভার উত্তর জলদি ৩ নং ওয়ার্ডের নোয়াপাড়া অলি মিয়ার দোকান এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, মোঃ বেলাল কোম্পানির মালিকানাধীন ১টি গ্যারেজ ও ১টি পার্টসের দোকানসহ ২ টি, মোঃ জহির সওদাগরের ১টি পার্টসের দোকান, অধর শীলের ১টি সেলুনের দোকান, আবু ছালেক সওদাগরের ১টি মুদির দোকান, মৌঃ জসিম উদ্দিনের ১টি গ্যাস ও বিকাশের দোকান এবং অলি আহমদ সওদাগরের ১টি পানির গোডাউনসহ অন্তত ৭ টি দোকান সমস্ত মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দোকান মালিক সুত্রে জানা গেছে।
আহতরা হলেন, নয়ন শীল, মোহন শীল ও মাহমুদুল ইসলাম। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যায়, অবস্থা গুরুতর হওয়াতে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান স্বজনরা।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোঃ বেলাল কোম্পানির গ্যারজের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে মূহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ায় সব দোকানের সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আর পুড়ে যাওয়া দোকান গুলোতে বিক্রি করার জন্যে মওজুদ করে রাখা অন্তত ৩০-৪০ গ্যাসের সিলিন্ডার ছিলো, তেল, মুবিল ও অকটেনের বেশ কয়েকটি ড্রামও ছিলো, আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ায় ওইসব গ্যাস সিলিন্ডার, তেল, মুবিলের ড্রামে আগুন ধরে যায়। এতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ হওয়ার কারণে স্থানীয়রা ভয়ে কাছে আসতে পারেনাই বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এবিষয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার নুরুল বাশার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, এতে অনেক্ক্ষণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply