মুহাম্মদ দিদার হোসাইনঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এতে ছয়টি বসতঘর সমস্ত মালামালসহ পুড়ে সর্বস্ব ছাই হয়ে গেছে। অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার ফলে পৌঁছাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস টিম।
১৬ অক্টোবর (বুধবার) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৮ নং ওয়ার্ডস্থ এমদাদ মিয়া বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন- মৃত রফিক আহমদের পুত্র আহমদ হোসেন সওদাগর, মোঃ শাহরু, মোঃ সেলিম উদ্দিন, এবং মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ ফেরদৌস, মোঃ জহিরুল ইসলাম ও আশেক এলাহি।স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়েছে কিন্তু চাম্বল বাজার থেকে পশ্চিম দিকে যাওয়া সড়কের বেহাল পরিস্থিতির কারণে ফায়ার সার্ভিস যথাসময়ে পৌঁছতে পারেনি। এ ঘটনায় দুইটি যৌথ পরিবারের ৬ টি বসতঘর সমস্ত মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় স্থানীয়রা আগুন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে মাস্টার শামসুল ইসলামের ঘরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলী হোসেন বলেন, আমার এলাকার মৃত রফিক আহমদের ৩ ছেলের তিনটি ঘর এবং মৃত নুরুল ইসলামের ৩ ছেলের বসতঘরসহ ৬টি বসতঘর সমস্ত মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সর্বস্ব ছাই হয়ে যাওয়াতে নিঃস্ব হয়ে গেছে ক্ষতিগ্রস্থরা। এছাড়াও আগুন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে মাস্টার শামসুল ইসলামের পুরো ঘর ও মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুনের সুত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সুত্রে জানা গেছে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এণ্ড স্টেশন ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস টিম রওনা করে, তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক পরিস্থিতির কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই সম্ভব হচ্ছিলনা। অনেক দূর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যেতে হয়। ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্তে কোনো তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি, যেহেতু ফায়ার সার্ভিস টিম পৌঁছার আগেই আগুন নিভে গেছে।
Leave a Reply