মুহাম্মদ দিদার হোসাইনঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পিএইচডি গবেষক বাঁশখালীর কৃতি সন্তান মোহাম্মদ হারুন উক্ত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিনের তত্ত্বাবধানে 'আলাউদ্দিন আল আজাদের সাহিত্যে নিম্মবর্গ' বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫০ তম সিন্ডিকেট সভা তাঁর এ ডিগ্রি অনুমোদন করেন। তাঁর পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদ ইকবাল এবং বহিস্থ সদস্য ছিলেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা তারিকুল আহসান। তাঁকে যুগ্ম তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে সহযোগিতা করেছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম।
মোহাম্মদ হারুন ইতিপূর্বে ১৯৯৩ সালে বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগে থেকে প্রথম বিভাগ অর্জন করেন, ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি এবং ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স ও এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনকারী মোহাম্মদ হারুন হাফিজ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের মোনাফ সিকদার বাড়ীতে ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মির আহমদ সিকদার, মাতা-মরহুমা হাফেজ বেগম। মা-বাবার সাত সন্তান -সন্তুতির মধ্যে মোহাম্মদ হারুন প্রথম সন্তান। নানা প্রতিকূলতাকে ভেদ করে তাঁর মেধা, মননশীলতা, প্রজ্ঞা ও ইচ্ছাশক্তি এ ডিগ্রী অর্জনে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হন তিনি।
মোহাম্মদ হারুন হাফিজ। বাবা মির আহমদ সিকদার এবং মাতা মরহুমা হফেজ বেগম। বাবা মায়ের সাত সন্তান-সন্তুতির মধ্যে মোঃ হারুন প্রথম। তিনি ১৯৯৩ সালে বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগ অর্জন করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন।
তিনি একাধারে কবি ও গবেষক। কথাশিল্পী ও লেখক হিসেবে সুপরিচিত তিনি। উনার লেখা উপন্যাস সমুদ্রের ডাক (২০১৯), কাব্যগ্রন্থ বিষণ্ণ প্রহর (২০২০)। বর্তমানে অধ্যাপনার পাশাপাশি ধর্মীয়, অধ্যাত্বিক, বিচ্ছেদ ও আধুনিক গানের লেখক ও শিল্পী। বাস্তব জীবনে অত্যন্ত সহজ সরল ও মানবিক।পারিবারিক ও বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তিনি। পরিবারের প্রথম সন্তান হওয়াতে ছোট ভাই-বোনদের পড়ালেখাসহ পরিবারের হাল ধরা থেকেও বিরত নন তিনি।