আফনান চৌধুরী :
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনের লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে জনস্বার্থে উন্নয়ন করে যাচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দার। এরই মধ্যে পাল্টে যাচ্ছে খানখানাবাদের চিত্র।
জানা যায়, নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালনের লক্ষ্যে উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছেন খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দার। এরই মধ্যে ওই ইউনিয়নের বি.বি. চৌধুরী সড়কের ১২শ মি. ডোংরা রায়ছটা সড়কের ৪৭০ মি. খানখানাবাদ আব্দুল হালিম সড়কের ৮৩ মি. সড়কের কাজসহ ৩ টি সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে।এছাড়াও আব্দুল হাকিম সড়ক, কালীপুর ইউপি টু খানখানাবাদ ইউপি সড়ক এবং মোশাররফ আলী বাজার থেকে খানখানাবাদ ইউপির সাগর পাড় পর্যন্ত ৬০০ মি. সড়ক এবং বাণীগ্রাম বাজার টু ইশ্বর বাবুর হাট সড়ক খানখানাবাদ প্রবেশের প্রধান সড়কে ১২শ মি. কার্পেটিং কাজসহ ৩টি সড়ক টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান জসিম।
তিনি আরো বলেন, আমার এলাকার কিছু কুচক্রী মহল সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা ভাবে মিথ্যাচার চড়াচ্ছে।মোকামি পাড়া এলাকায় সড়কের কাজের জন্যে বালু সংরক্ষণ করছে টিকাদার। আর ওইসব বালু সড়কের কাজে ব্যবহার করছে তারা। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে এক সাংবাদিক এসে আমার কাছ থেকে বালুর স্তুপের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন, আমি বলেছি, বালু নিয়ে বড় গাড়ী প্রবেশের সুযোগ না থাকায় সমুদ্র পথে ড্রেজার যোগে বালু এনে সেখানে সংরক্ষণ করেছে টিকাদার এবং সড়কের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তাও উনাকে স্পষ্ট ভাবে বলেছি।
তাছাড়া পার্শ্ববর্তী এলাকায় কে বা কারা সমুদ্র সৈকত থেকে বালু উত্তোলন করে নাকি স্তুপ করেছে সেটিও জানতে চেয়েছিলেন, কারা উত্তোলন করছে সেটা আমি জানিনা। তবে উনাকে খবর নিয়ে দেখতে বলেছি। আর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোন ধরনের খোঁজখবর না নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে বেড়াচ্ছে। আমি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ওইসব সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যে বলেন তিনি।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বালুর স্তুপ সংক্রান্তে কয়েকজন লোক বলেন, ওইসব বালু বদরুদ্দীন চৌধুরী নামে এক প্রভাবশালী স্তুপ করেছে। বালু সংরক্ষণ সংক্রান্তে একটি অনুমোদন কপিও দেন তারা।পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বালু সংরক্ষণ সংক্রান্তে মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ, ৪০৫৩ সিজেকেএস শপিং কমপ্লেক্স, কাজীর দেউড়ী, চট্টগ্রাম এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ বদরুদ্দীন চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ২০২৩ ইং তারিখে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত বদরুদ্দীন চৌধুরীকে ১০ লাখ ঘনফুট বালু সংরক্ষণ/ স্তুপ সংক্রান্তে একটি অনুমোদন দেন ওই নির্বাহী কর্মকর্তা।সেটাতে বিএস জরিপের বিএস খতিয়ান নং ১৫৭০ ও ১৫৪৬, মৌজা পুঁইছড়ি, অর্থাৎ বাঁশখালীর সর্বদক্ষিণে দেখানো হলেও বাঁশখালীর উত্তর -পশ্চিম এলাকা খানখানাবাদের উপকূলের ইশ্বর বাবুর হাট সংলগ্ন এলাকায় অর্থাৎ অনুমোদন বিহীন জায়গাতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও বিশাল স্তুপের দৃশ্য দেখা গেছে। এতে স্থানীয় আরেক প্রভাবশালী বোরহান উদ্দিন নামে সরকার দলীয় এক নেতার যোগসাজশ রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।