মোঃ জাবেদুল ইসলামঃঃ
পুলিশ ধর্ষনের বর্ণনা শুনার পর অবশেষে অভিযোগ নিল ধর্ষক সুজন,আবির,সজল বিরুদ্ধে। থানা বিভিন্ন অপকর্ম মামলা রয়েছে ৩ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ কর্মকর্তারা শারমিনের ধর্ষণের ঘটনা স্থানের গিয়ে বিভিন্ন আলামত এবং রক্তমাখা জামাকাপড় জব্দ করলো।
পুলিশ কর্মকর্তা শারমিনকে ডাক্তার পরীক্ষা করার নির্দেশ প্রদান করেন। এটা ছিল শারমিনের জন্য বেদনা দায়ক লজ্জার বিষয়। ধর্ষিতা হলাম আর সেটার প্রমাণও লাগবে! নিয়ে যাওয়া হলো মেডিকেলে ডাক্তারি পরীক্ষা হবে আসলেই সে ধর্ষিতা কিনা।শুরু হলো পরীক্ষা!
পরীক্ষা টা এত নোংরা ভাবে করা হয় সেটা সে আগে জানতো না, এ যেন আরেকবার ধর্ষিত হলো!
শারমিনের জন্য এটা বেশি লজ্জাজনক!
এখানে আসার চেয়ে বুঝি মরে যাওয়াটাই ভালো ছিলো!
মনে মনে ভাবতে লাগলো।চোখের অশ্রু এবার আর এক ফোঁটা না বেশ কয়েক ফোঁটা ঝরতে লাগলো!অনেক ডাক্তারি পরীক্ষার পর প্রমাণ পেলো আসলেই একজন ধর্ষিতা নারী শারমিন। মুহূর্তেই খবরটা ছড়িয়ে পড়লো!
ছুটে আসলো সাংবাদিক!
সমস্ত নিউজ চ্যানেলে শারমিনের ছবি প্রকাশ করে। খবরের কাগজে ছাপা হলো কিন্তু ধর্ষকদের কোন ছবি পত্রিকা ছাপা হলো না। কারণ শারমিনের ধর্ষকদের হাত অনেক লম্বা। এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছায়া তলে আছে ধর্ষকরা। এই ভাবে কেটে গেল ৫ দিন। শারমিন ছবিসহ পরিচয় দিয়ে ধর্ষণের খবরটা যখন সাংবাদিকরা বিভিন্ন পত্রিকা এবং টিভির চ্যানেলের সংবাদ প্রচার করার ফলে দেশ-বিদেশের সকল আত্নীয় স্বজনরা মোবাইল কল দিয়ে নানান ভাবে মন্দ কথোপকথন করলে লাগলো শারমিনের পরিবারের সাথে। অন্যদিকে আসামীরা শারমিনের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকি দিতে লাগলো ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি ওঠিয়ে নেওয়ার জন্য।
এলাকার প্রভাবশালী এবং জনপ্রতিনিধি আর সামাজের লোকজনদের সাথে শারমিনের বাবা একটা সালিশি বৈঠক হয়। সালিশি বৈঠকে শারমিন সহ পিতামাতা অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে সালিশী বৈঠকে ছিলেন না ধর্ষণকারী সুজন,আবির এবং সজল। সালিশী বৈঠকে ধর্ষিতাকে সমাজচ্যুত করা সিদ্ধান্ত হয়। আর যারা ধর্ষিতার পরিবারকে সহযোগিতা করবে তাদেরও একই শাস্তি পেতে হবে বলে সালিশকাররা জানিয়ে দেন। ধর্ষিতা ও পরিবারকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে নানা অপবাধ দেয়া হয়।
এদিকে ধর্ষণের বিচার না করে উল্টো ধর্ষিতা ও তাদের পরিবারকে সমাজচ্যুত করায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে সচেতনমহলে। ধর্ষকদের ভালো মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন সর্দারসহ অন্যান্য সালিশকাররা।সালিশি বৈঠকে ধর্ষিতাকে সমাজচ্যুত করা সিদ্ধান্ত হয়। আর যারা ধর্ষিতার পরিবারকে সহযোগিতা করবে তাদেরও একই শাস্তি পেতে হবে বলে সালিশকাররা জানিয়ে দেন। ধর্ষিতা ও পরিবারকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে নানা অপবাধ দেয়া হয়।