মোঃ জাবেদুল ইসলামঃ-
আমার শরীর খুব ক্লান্ত। তাই সবাইকে রাতে বিদায় জানিয়ে ঘুমাতে গেলাম। ভোর সকাল আব্বু ডাকছিল শারমিন মা এখনো ঘুমাচ্ছেন নাকি জ্বি আব্বু এই মাত্র ঘুম ভাঙ্গলো। আমি আরছি, আমি আসার আগে আব্বু বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে। আব্বু দেরি হয়ে যাচ্ছে আম্মুকে বলে গেছে যেন আমার প্রতি যত্নবান হাওয়া জন্য। দেশের প্রতিদিন মেয়েরা নির্যাতিত হয়ে পত্রিকা শিরোনাম হচ্ছে আমি দূরে থাকি।কিন্তু মনটা সারাদিন পড়ে থাকে আমাদের সন্তানদের প্রতি।আমার খুব ভয় হচ্ছে মেয়ে চাকুরী করতেছে। তুমি বিশেষ করে সন্তান গুলো প্রতি খেয়াল রেখো।
আমি এসে আব্বুকে না দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো। কি করলো একটু পর আমাকে বাহির হতে হবে চাকুরী যাওয়া জন্য, তাই ফ্রেস হয়ে সকাল নাস্তা খেয়ে বাহির হয়ে গেলাম। একটু পর চাকুরী যাওয়া জন্য সিএনজি অটোরিকশা আসবে।সেটা গাড়িটা যোগে প্রতিদিন সকাল যাই, আবার সন্ধ্যা ফিরে আসি। এই ভাবে দিনকাল যাচ্ছে।
প্রতিদিনের মতো আজকের সিএনজি অটোরিকশা যোগে চাকুরিতে গেলাম।কেমন জানি আজকে মনটা খারাপ রাখতেছে। বসকে বলছিলাম আজকে আমাকে ছুটি দেওয়া জন্য কিন্তু বস বললো কাজের চাপ বেশি ছুটি দেওয়া যাবে না। কোন রকম দিনটা কাটতেছে।হঠাৎ ড্রাইভার কল দিয়ে বললো গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে সন্ধ্যায় গাড়ি আসবে না। এই কথাটা শুনের যেন মাথার ওপর আসমান ভেঙ্গে পড়লো!
আমার বিকল্প পথ হিসাবে লোকাল গাড়িতে যেতে হবে। চাকুরি শেষ করে, বাহির হয়েছি আধা ঘন্টা হচ্ছে এখনো গাড়ি পাইনি।একটু পর একটা সিএনজি অটোরিকশা পেয়েছি। সেখানে ড্রাইভার সহ ৪ জন গাড়িটি লোক রয়েছে। কি কবরো অন্য গাড়িও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে রাত হয়ে যাচ্ছে। একটু ভেবে দেখলাম কি করবো গাড়িটি যেতে হবে।তবে আমার খুব ভয় লাগতেছে। ড্রাইভার আমার উদ্দেশ্য করে – বললো গেলে আসেন না হয় গাড়ি পাবে না? কি করবো ভয়ে ভয়ে সিএনজি অটোরিকশা গাড়িতে ওঠলাম। ড্রাইভার নিজের মতো গাড়ি চালাতে লাগলো। খানিকটা দূরে ফাঁকা নির্জন ঘন অন্ধকারে জায়গায় গিয়ে ড্রাইভার গাড়ি থামাল। আমি বললাম ড্রাইভার গাড়ি থামালেন কেনো? ড্রাইভার বললো গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। হেঁটে যেতে হবে না অন্য গাড়ি ধরে যেতে পারেন? আমি সহ অন্য যাত্রী গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে ড্রাইভার সিএনজি গাড়ির ইঞ্জিন চালু করে দ্রুত পালিয়ে গেল।
গাড়ি থাকার ৩ যাত্রী মধ্যে একজন আমার গলায় চুরি ধরে বললো চিৎকার করলে মেরে পেবো। বাকিরা সবাই আমার ওড়না পেঁছিয়ে আমার হাত মুখ চোখ বেঁধে পেললো। তারপর সবাই টেনে টেনে পরিত্যক্ত পাশে একটি জমিদার বাড়িতে নিয়ে গেল। একজনের চুরি ধরে আছে, বাকিরা আমার মুখে হাতে বাঁধন খুলে দিল। নির্জন বাড়ি জনমানব শূন্য। চারিদিকে ঘন অন্ধকার মনে হচ্ছে একটু ভূর্তের বাড়ি।
একটু পর মোমবাতি জ্বালানো হলো সেই স্থানে। মোমবাতি আলোতে দেখতে পেলাম পরিত্যক্ত বাড়িটিতে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য খালি বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমি একটু তাদের দিকে থাকালাম। প্রথম দেখাতে ছিনতে পেরেছি। ওরা স্থানীয় রাজনীতি সাথে জড়িত। বড় প্রভাব শালী নেতাদের সাথে এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ব্যানারের ছবি আছে। আমার গলায় চুরি ধরা লোকটি হলো – সুজন বাকিরা হচ্ছে আবির আর সজল। আমি ওরা যাতে বুঝতে না পারে আমি ওদের ছিনতে পারছি ভয় ভয় দাঁড়িয়ে আছি।আমার হাত – পা গুলো থর থর কাঁপাচ্ছে৷ (চলবে…..)।
Leave a Reply