আফনান চৌধুরী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) :
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র বহিষ্কৃত নেতা, আলোচিত বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারার ইউপি চেয়ারম্যান মো. লেয়াকত আলীর জামিন নামঞ্জুর করে এক দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১১টায় চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিয়সিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঈনুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ- পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালত ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামি পক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে উৎসুক জনতার সামনে পুলিশ ও থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি'র এই বহিস্কৃত নেতা হুংকার দিয়ে বলেন, ওয়া ওসি সাব এরকম তিন চারটি মামলা দিলে কি হবে, ১০০ মামলা দিলেও কোন সমস্যা নাই, কিছুই হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, ‘তিনি (চেয়ারম্যান) আদালত থেকে বের হয়ে প্রিজন ভ্যানে উঠে আমাকে বলেছেন, শুধু এই একটি নয়; উনাকে আরও একশ মামলা দিলেও কিছু করতে পারবো না।'তিনি আরও বলেন, ‘উনি আসামি তাই উনার হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে। উনি আসামি না হয়ে এমনি কেউ হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতাম। এরপরও আইনি প্রক্রিয়ায় জিডি করে রাখা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি গণ্ডমারায় এস.এস. পাওয়ার প্ল্যান্টের বাইরে বালি সাপ্লাইয়ের পাইপ পরিবহনের সময় বেঁড়িবাধ সড়কে আবদুল খালেক গংদের সাথে ঠিকাদার সায়মনের লোকজনের সাথে তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষের রুপ নেয়। এসময় গাড়ি ভাঙচুর ও মালামাল লুট করা হয়। এরপর রাতে দফায় দফায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সায়মন ও পুলিশসহ ১৩ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় রাতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বাঁশখালী থানার এসআই লিটন চাকমা বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জাহিদ হাসান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে লিয়াকত আলীকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করে জেলা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে ডিবির উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।