সালমান হোসেন,জুড়ী প্রতিনিধিঃ
নিজের স্বপ্ন নিজেই তৈরি করতে হয়। তা নাহলে অন্য কেউ তাদের স্বপ্ন নির্মাণের জন্য আপনাকে ভাড়া করবে।
স্বপ্ন তো সবাই দেখে কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে পারে’ই বা কয়জন?
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই স্বপ্নবাজ। কেউ-কেউ কাঙ্খিত স্বপ্নের সাফল্য-চূড়ায় পৌঁছাতে পারে, আবার কেউবা ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেয়। ব্যর্থতা জানা সত্ত্বেও যাঁরা চেষ্টা করে যায় তাঁরাই পৌঁছে সফলতায়।
সমাজে এর এমন ভুরি-ভুরি উদাহরণ রয়েছে।
ঠিক তেমনই একজন স্বপ্নবাজ তরুণ সিলেটের বিয়ানি বাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে জন্মগ্রহণ করা ও বেড়ে উঠা আব্দুল্লাহ্ আল তানিম প্রকৃতির মতোই স্বচ্ছ, সহজ ও সরল।
বেশ প্রতিভাবান ও উদার।
ভালো কাজে অনুপ্রেরণা দেয়া’ই তাঁর মূল কাজ।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সাহিত্য জগতকে ভালোবেসে বুকে লালন করে দেশের উদীয়মান কবি-সাহিত্যিক, লেখক ও সম্পাদকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি “ইচ্ছে স্বপ্ন প্রকাশনীর” কর্ণধার।
তিনি তাঁর “ইচ্ছে স্বপ্ন প্রকাশনী’র মাধ্যমে পূরণ করতে চান উদীয়মান কবি-সাহিত্যিক ও লেখকদের স্বপ্নকে। প্রকাশনীর কাজে তাঁর লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে।
সদা হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণবন্ত ও পরিশ্রমী মানুষটি খুঁজে-খুঁজে বের করছেন দেশের আনাচে-কানাচে হেলায় পড়ে থাকা প্রতিভার মুক্তোকে সংগ্রহ করে মালা গেঁথে সুযোগ করে দিচ্ছেন প্রতিভা বিকাশে । এসব বিকশিত প্রতিভা একদিন ইচ্ছে স্বপ্ন প্রকাশনীর ডানায় চড়ে পৌঁছে যাবে বহুদূর ।
স্বপ্নবাজ এই তরুণ নিজেও একজন লেখক। তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি একক গল্প-কবিতা ও উপন্যাস বই প্রকাশিত হয়েছে এবং শতাধিক বই ও ম্যাগাজিনের সম্পাদনাও করেছেন তিনি।
লেখালেখি ও প্রকাশনীর পাশা-পাশি তিনি “ইচ্ছে তরী ফাউন্ডেশন” নামক একটি দাতব্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। দাতব্য সংস্থাটি সমাজের হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাঁদের মুখে একটুকরো হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে থাকে। “ইচ্ছে তরী ফাউন্ডেশন” এর পক্ষ থেকে এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি ইভেন্ট সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে।
সর্বদা তিনি চিরকৃতজ্ঞ তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি।
তাঁর ইচ্ছে, বইয়ের আলো ছড়িয়ে পড়ুক পৃথিবী জুড়ে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, পরিবার থেকে পরিবারে।
যারজন্যে, সাহিত্যজগতে রয়েছে তাঁর বেশ সুনাম ও জনপ্রিয়তা।
Leave a Reply