নিজস্ব সংবাদদাতা,আনোয়ারাঃঃ আনোয়ারাবাসী চিকিৎসা একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জড় জড়িত। স্বাস্থ্যসেবা মান নিয়ে যেন অভিযোগ পাহাড়ের ভুক্তভোগী রোগীদের। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার এবং নার্সের ব্যবহারের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
বুধবার বিকালে গায়ের জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা নিতে যায় আতিকুল জামশেদ নামে এক যুবক। ডাক্তারের পরীক্ষার রির্পোটের টাইফয়েড ধরা পড়লে ভর্তি করানো হয়। রোগী শরীরের কিছু পর জ্বর বৃদ্ধি পায় জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো কমে। হঠাৎ জ্বর বৃদ্ধি পাওয়া রোগী আর্তনাদ দেখে রোগীর স্ত্রী এবং স্বজনরা ডাক্তারের কক্ষের গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
রোগীর স্ত্রী এবং স্বজনরা বেশ কিছু ক্ষণ ডাক্তার আর নার্সের খোঁজাখুঁজি পর নার্সের দেখা মিললেও রোগীকে একটু দেখানো জন্য অনুরোধ করলে নার্সের সাড়া পাওয়া যায়নি। শারমিন নামে এক নার্স বলেন আমার অনেক কাজ বাকি আছে।রোগী পড়ে দেখবো একটা সাপোজিটরি ৫০০ মিলিগ্রামের একটা ঔষধ দিয়ে এটা রোগীকে দিতে বলেন।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে ৮ রাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কক্ষে কাউকে দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পর শারমিন নামে এক নার্সের দেখা যায় রোগীর প্রেসক্রিপশন দেখতে। নার্সের কাছে ৫০ নং ওয়ার্ড ভর্তি হাওয়া আতিকুল জামশেদ নামের এক রোগীর আর্তনাদ কথা জানানে একটু পড়ে রোগী দেখবে বলে আসেনি।
আসিফ নামে রোগীদের স্বজন জানান, জামশেদ আর্তনাদ দেখে বার বার নার্সের কাছে গেছে নার্সের সাড়া পাওয়া যায়নি। কিছু পর নার্সের রোগীর অবস্থা দেখার জন্য অনুরোধ করলে রোগী দেখা ছাড়া থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা ছাড়া তো দূরে কথা সাপোজিটরি একটা আমার হাতে দেন রোগীকে দেওয়া জন্য, এটা কোন ধরনের চিকিৎসা বুঝতে পারছিনা।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মধ্যে রাতের বেলায় শুধু মাত্র দু'জন নার্স রয়েছে। তারা সকল রোগীদের সেবা দিতে নানার সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এমন অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. মামুনুর রশীদ'র মোবাইল নাম্বারের একাধিক বার ফোন করে পাওয়া যায়নি।