দিদার হোসাইন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দলিল জালিয়াতি করে জমি দখলের পাযতারার অভিযোগ উঠেছে।
৩০ অক্টোবর(রবিবার) বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউপির ২ নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত্যু আব্দুস সোবহান এর পুত্র শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি দলিল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে,এই বিষয়ে নিয়ে পুরো এলাকা জুড়ে চলছে উত্তেজনা।
সরেজমিনে পরিদর্শনে স্থানীয়রা জানায়,সরলে ২নং ওয়ার্ডের মৃত্যু আব্দুস সোবহান এর তিন পুত্র ফরিদ উদ্দিন, রফিক উদ্দিন ও শফিকুর রহমান সহ তিন পুত্র রয়েছে।জনৈক আব্দুস সোবহানের মৃত্যু পরবর্তীতে ওই তিন পুত্র পৈত্রিক মূলে আব্দুস সোবহান এর পরিত্যজ্য সম্পত্তির মালিক হয়।এরই মধ্যে নালিশী সম্পত্তিতে শফিকুর রহমানের প্রাপ্ত অংশ তিনি বিগত ২০০৭ সালে ৩৯৭০ নং কবলা মূলে একই এলাকার মৃত্যু আব্দুল আজিজের পুত্র হারুন রশিদের নিটক বিক্রি করিয়া দেন বলে জানান স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত শফিকুর রহমান একজন টিএনটি অফিস কর্মকর্তা ছিলেন,তিনি বিগত ১৯৭৯ সালে মৃত্যু ফরিদ উদ্দিন এর কাছ ৫৯৪ নং কবলা মূলে জমি খরিদ করেছে মর্মে উল্লেখিত দলিল মূলে শফিকুর রহমান এর কাছ থেকে একই এলাকার মৃত্যু রফিক উদ্দিনের ছেলে হেফাজ উদ্দিন তোফাইল জমি খরিদ করেছে বলে জায়গা দখলের চেষ্টা করেছে হেফাজ,মূলত হেফাজ একজন ভূমি দস্যু,সে বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত করে মানুষের জায়গা দখলের পায়তারা করছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
আবুল হাসান মিয়াজি ও মোক্তার আহমদ,নাছির উদ্দিন মানিক সহ স্থানীয় অন্তত অর্ধশতাধিক লোক বলেন,মৃত্যু রফিক উদ্দিনের ছেলে হেফাজ উদ্দিন জমি জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে ওই এলাকার বিএস ৭৭৮ ও ৭৭৯ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক মৃত্যু ফরিদ উদ্দিন এর ওয়ারিশ মৃত্যু শাহ আলমের ছেলে হাসান মুরাদ ও ইস্কান্দার এবং মোঃ হোসাইনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।একই ভাবে হেফাজ উদ্দিন এর আপন মামা গিয়াস উদ্দিন বলেন,হেফাজ আমার ভাগিনা তার সাথে ফরিদ উদ্দিনের ওয়ারিশদের জমি বিরোধ হলেও চাঁদাবাজির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।এসময় মৃত্যু শাহ আলমের পরিবারের দাবি হেফাজ উদ্দিন তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে যে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।এই মিথ্যা হয়রানি থেকে বাঁচতে সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শাহ আলম এর পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয়রা।
অপরদিকে হেফাজ উদ্দিন বলেন,আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমরা নানার বাড়িতে থাকি।আমি সৌদি প্রবাসী,কিন্তু আমার দলিলী জমি তারা দখল করে রেখেছে এবং আমাকে বিভিন্ন সময় তারা নির্যাতন করছে।আর শফিকুর রহমান কাছ থেকে ৫৯৪ নং কবলার আদলে আমি জমি খরিদ করেছি সেই দলিলে যখন গরমিল দেখা যাচ্ছে তাই আমি সেই দলিল মূলে কোনো জমি চাইনা।তবে আমার অন্যান্য দলিলী জমি তারা দখল করে রেখেছে সেই জমি আমি দাবি করছি এমন বক্তব্য অভিযুক্ত হেফাজের।হেফাজ আরো বলেন,মৃত্যু ফরিদ উদ্দিনের নামে বিএস ৭৭৮ ও ৭৭৯ খতিয়ানে ভূল রেকর্ড হয়েছে।তাছাড়া বাবার মৃত্যু পর নিজ এলাকা গণ্ডামারা থেকে নানার বাড়িতে বড় হয়েছি,এখানে আমি ও আমার পরিবারের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এসময় হেফাজত এর ভগ্নিপতি আবুল কাশেমও ঠিক হেফাজের সাথে সুর মিলিয়ে একই বক্তব্য দেন।
এব্যাপারে শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তার বড় মেয়ে হাসিনা বেগম ফোন রিসিভ করে বলেন,আমার বাবা একজন সাবেক টিএনটি অফিসার,বর্তমানে তিনি চলাফেরা করতে পারেননা, ঠিক ভাবে কথাও বলতে পরেনা।এসময় হাসিনা বলেন,বাবা বর্তমানে ঢাকা মীরপুরে আমার বাসায় আছেন।সরলের বিভিন্ন মানুষ জমি বিক্রির কথা বলে প্রায় সময় টাকা নিয়ে যেতো এবং তারা নিজেরাই চাম্বলের এক মুন্সিকে নিয়ে বাবার নামে জমি রেজিস্ট্রি দিয়েছে।কিন্তু এরই মধ্যে আমার বাবার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে এবং দলিল জালিয়াতির অপবাদ দিচ্ছে।মূলত ফরিদ উদ্দিন ও কবির আহমদ এর কাছ থেকে বাবা বিভিন্ন দলিল মূলে অনেক জমি কিনেছেন।অথচ রেজিষ্ট্রীর সময় বাবা কখনো রেজিষ্ট্রী অফিসেও যাননি তারা নিজেরাই রেজিষ্ট্রী দিয়েছে।হাসিনা একপর্যায়ে কান্না কণ্ঠে বলেন,তাদের পরিবার এলাকার এই সমস্ত খারাপ লোকদের নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।তাই বাবার এই বয়সে আমার বাসায় নিয়ে এসেছি।এসময় ৯০ বছর উর্ধ্বে বয়সী সেই শফিকুর রহমান বলেন,আমার জমি তারা জবর দখল করে রেখেছে।আমি কোনো দলিল জালিয়াতি করিনাই।কারণ আমি রেজিষ্ট্রির সময় কখনো রেজিষ্ট্রি অফিসেও যাইনি।
১৯৭৯ সালের ৫৯৪ নং দলিল কি আসল নাকি জাল?এই নিয়ে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন,দলিল ও বিএস রেকর্ড আসল নাকি জাল সেটা প্রমাণ করবে আদালত।কেউ মূখে বললেই আসল কিংবা জাল হয়ে যায়না।
Leave a Reply