মোঃ জাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারাঃঃ
চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলায় ভেতর দিয়ে একেঁবেঁকে বয়ে যাওয়া ইছামতী খালটি বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা দূষিত নোংরা পানি, বিভিন্ন প্রকার বর্জ্যের ময়লা, আবর্জনা আর কচুরিপানা স্তূুপের পরিনত হয়েছে। ইছামতী খালটি ঘিরা চাষাবাদ কৃষি জমিন গুলো পানির অভাবে হুমকি মুখে পড়েছে। স্থানীদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ স্লুইসগেট জন্য পানি নিষ্কাশনের প্রবাহিত পথ বাঁধ দিয়ে রুদ্ধ করে রেখেছে।
ইছামতি খালের সবচেয়ে বড় সমস্যা নষ্ট ও দূষিত পানির কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ মরে যাচ্ছে। অথচ সরকার প্রতি বছর দেশীয় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খালসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার মাছের পোনা অবমুক্ত করে আসছে। পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ার কারণে খালের পানি দূষিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ আর মশার উপদ্রব। খাল পাড়ের বসবাসকারী মানুষগুলো এ দুর্গন্ধময় পানি ও মশার উপদ্রব নিয়ে জীবন যাপন করে আসছে অতি কষ্টে। তাদের এ সমস্যা সমাধানে যেন কেউ নেই এমনি ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ইছামতী খালটি ময়লা,আবর্জনার এবং কচুরিপানা স্তূপের পরিনত হয়েছে।
পরৈকোড়া ইউনিয়নের বাকখাইন ও কৈখাইন দুটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। স্লুইসগেট দুটি ইছামতী খালের মাথা বাঁধ দিয়ে ২ বছর পানি আটকে রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ। ইছামতী খালের পানি প্রবাহের আটকে রাখার ফলে কৃষি ক্ষেতে হুমকি মুখে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। ইছামতী খালের কচুরিপানা আর ময়লা আবর্জনা স্তূপের পরিনত হয়েছে।
জানা যায়, এক সময় আনোয়ারা উপজেলা মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছিল ইছামতী খাল দিয়া নৌকা পারাপার। জীবিকার নিত্য প্রয়োজনী, ব্যবসায়িক মালামাল ইছামতী খাল দিয়ে নদীর পথে আনা নেওয়া হতো।
স্থানীয়রা জানান, খালের বুকে চলছে চাষাবাদ। একসময় এই খাল ছিল এলাকার অনেক মানুষের জীবিকার উৎস।বছরের পর বছর দখল-দূষণের কারণে ইছামতী খালটি সরু ও কচুরিপানার জঙ্গলে বাস পরিণত হয়েছে।ফলে সুবিধা-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন উপজেলার মানুষ। উপজেলার পরৈকোডা ইউনিয়নের কৈখাইন, আনোয়ারা সদরের ডুমুরিয়া, রুদ্দরা, বোয়ালগাঁও, চাতরী ইউনিয়নের কেয়াগড়, ইছামতি, কৈনপুরা, নোয়ারাস্তা, বারখাইন ইউনিয়নের ধানপুরা, ঝিওরি, শিলাইগড়াসহ বিভিন্ন এলাকা।একসময় ইছামতী খালের পানি সেচ দিয়ে উপজেলা বিভিন্ন জায়গায় চাষাবাদ করা হতো।জেলের নৌকা আর খালের মাছ শিকার করে জীবিকার নির্বাহ করতো।খালটি পুনরায় খনন করা হলে মাছের উৎস হিসাবে আবারও ফিরে পাবে পুরোনো ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে এলাকার মৎস্যজীবীদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় দিন দিন এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। মশার উৎপাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।খাল নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এ সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে জানতে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ এর মোবাইল নাম্বারের কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী জানান বাকখাইন ও কৈখাইন দুটি স্লুইসগেট ইছামতি খালের মাথায় বাঁধ দেওয়া বিষয়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডে সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে উপ -বিভাগীয় প্রকৌশলী, আনোয়ারার (ভারপ্রাপ্ত) অনুপম দাশ এর মোবাইল কয়েকবার কল দিয়ে কোন সাড়া না পাওয়া মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply